প্রকাশিত: ০৩/০২/২০১৭ ১১:৩৮ পিএম

কক্সবাজার শিল্প ও বানিজ্য মেলায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নামে অনুমতি নেওয়া লটারির নামে প্রকাশ্যে জুয়াখেলা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। জেলার বিবেকবান সকল সচেতন নাগরিক ও বিশিষ্ট জন এবং বেশ কয়েকটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল অনেকদিন হতে দাবী জানিয়ে আসছিলো বানিজ্য মেলায় যাতে জুয়ার আদলে প্রকাশ্যে লটারির অনুমতি দেওয়া না হয়। কিন্তু এই দাবীকে উপেক্ষা করে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটের শরীক প্রধান দলটির জেলার শীর্ষ নেতাদের চাপের মুখে গত ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নকে ওই লটারি আয়োজনে অনুমতি দেয় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বানিজ্য মেলায় লটারী বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে কক্সবাজারের বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয় ই-মেইলে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ও রিজার্ভ সশস্ত্র আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কলাতলী সড়কে আয়োজিত বানিজ্য মেলায় অভিযান চালিয়ে লটারির সকল আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় লটারির নামে মনোপলি জুয়ার আসর।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন গতকাল রাতে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেলায় গিয়ে লটারি বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ও আনসার অভিযানে সহযোগিতা করেছে। আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে লটারি বন্ধ করার জরুরি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ঠ একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এই লটারি খেলার টিকেট বিক্রি করা হয় কক্সবাজার জেলাব্যাপী। প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৫ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার টিকেট বিক্রি হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা।

বিক্রিত টিকেটের অবশিষ্ট টাকা লটারির উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, মেলার অংশীদার ও অন্যান্যদের পকেটে চলে যায় বাগবাটোয়ারা হয়ে। এই লটারিকে কেন্দ্র করে সামাজিক ও পারিবারিক স্থিতিশীলতা ও মূল্যবোধ মারাতœকভাবে ধ্বংস হচ্ছে এমন অভিমত সচেতন মহলের।

এদিকে লটারির নামে জুয়াখেলা বন্ধ করে দেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীসহ জেলার বিশিষ্ট অনেক নাগরিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

পাঠকের মতামত

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...